শনিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০০৯

কৌতুক গল্প

ছোটবেলা মা বাবা এবং বন্ধু বান্ধবের মুখে অনেক সুন্দর সুন্দর কৌতুক শুনেছি এবং প্রাণ খুলে হেসেছি। এই ব্লগে লেখা এটা প্রথম কৌতুক। অনেক পুরোনো বলে সবচাইতে আগে ছাপাচ্ছি। আশা করি ভাল লাগবে।


আমি হাঁটতে বেড়িয়েছি। রাস্তাঘাটে বেরোলে আমরা প্রায়ই দেখে থাকি বিভিন্ন দেয়ালে বিভিন্ন লেখা লেখা রয়েছে। কেউ উনার বাড়ির কুকুর হইতে সাবধান করতে পোস্টার লাগিয়েছেন, আবার কেউ উনার দেয়ালে যেন পোস্টার লাগানো না হয়, তার জন্যে নিজেই এক পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন। এমনই এক দেয়ালের গায়ে লেখা ছিল এই কথাগুলোঃ


আমরা প্রায়ই দেখে থাকি যে অনেকেই প্রাকৃতীক টান সহ্য করতে না পেরে যেখানে সেখানে যেমন গাছের নিচে, গাড়ির পাশে, নর্দমাতে বা দেয়ালের গোড়ায় বসে পড়েন বা দাঁড়িয়ে যান। এই অপরিহার্য অবস্থার কথা ভেবেই হয়তো এই দেয়ালটুকুর গায়ে লেখাটা লেখা হয়েছিল। তাতে কিছু লাভ হয়েছে কিনা বলা মুষ্কিল, তবে কিছুদিন পরে দেখা গেল যে যা না করার জন্যে এতবড় পোস্টার লাগানো, সেই কাজ আরো বেড়েই গেল এবং দেয়ালের পাশ দিয়ে যাতায়াত করাই হয়ে উঠলো দূরহ। তাই লেখক ঠিক করলেন যে নিজেই তদন্তে নামবেন।

তিনি যখন দেয়ালের পাশে এসে দাড়ালেন কি চলছে তা দেখতে, অমনি উনার চক্ষু চড়কগাছ! একি, লেখাটা তো পুরোপুরিই পাল্টে গেছে! কোনো মহাপূরুষ তার লেখার উপরে নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় রেখে গেছে এবং উনার লেখাটা এখন পাল্টে দাড়িয়েছে এইঃ



এরপর ওখানে কি হলো আর কেউ জানে না; আর জানলেও কখনো কথাটা দুকান করেনি। তাই আমিও আর আপনাদের জানাতে পারবো না। চলুন এগিয়ে চলি।

কিছুদুর চলার পর, পাওয়া গেল একখানা কবরস্থান। ওই যেখানে মৃত্যুর পর মানুষের ঘর করে রেখে দেওয়া হয়, সেই যায়গা। সাধারণত আমি বিশেষ সময় কাটাই না স্মশানভূমি বা কবরস্থানে। তাই দ্রুত পায়ে চল্লাম। এই লেখাটি দেখা গেল, মূল দড়জার পাশের দেয়ালে। দাড়াতেই হল!



আমার প্রশ্নঃ যদি বহিরাগতদের জন্যে বাহন রাখার ব্যাবস্থা না করা হয়ে থাকে, তবে কি এখানকার বসবাসকারিদের বাহনের জন্যে করা হয়েছে? আমি ঠিক জানি না, তবে যদি এনারাই রাত্তির বেলা নিজেদের বাহন সম্বল করে ভ্রমনে বের হন, তবে আর এখানে থাকার বিশেষ প্রয়োজন বোধ করছিনা। এবার আপনারাও কেটে পরুন। পরে আবার দেখা হবে, রাস্তার পাশে, বা সবুজ ঘাসে কোথাও।

কি আনন্দ!

বাংলা ভাষা

বাংলা শুনলেই আমার জ্বর আসতো। এখোনো একটা ভয় রয়েই গেছে। তবুও এই বাংলা ভাষাই আমার প্রিয়। কত কবিতা, কত গান, কত গল্প লিখেছি আমি বাংলায়। সেই পুরাতন দিন, যখন পাতার পর পাতা চিঠি লিখতাম আমার প্রিয়তমাকে, কবিতা লিখে পাঠাতাম বাংলায়। এবার আবার সুযোগ পেয়েছি বাংলায় লেখার। এ সুযোগ আমি ছাড়ব না।

আমার বাড়ি

আমার বাড়ি আগরতলায়, ত্রিপুরার রাজধানী। ভারতবর্ষের উত্তর পূর্ব প্রান্তের ছোট্ট রাজ্য, ত্রিপুরা। জাতি উপজাতি মিলে মিশে থাকি আমরা। আমার বাড়ি ওখানে। ছোট্ট আমাদের শহর, আগরতলা। খুব সুন্দর জায়গা। আমার সবচাইতে প্রিয় শহর। তোমরা এসো - দেখে যেয়ো আমার বাড়ি।

ব্লগ সম্বন্ধীয়

এটা আমার প্রথম বাংলা ব্লগ। ব্লগ তো আমি অনেক লিখি, তবে বাংলায় এই প্রথম প্রচেস্টা। খুব ইচ্ছে ছিল বাংলায় লেখার। অনেক সফট্যার ঘাটা ঘাটি করে পেলাম এই উৎকৃসষ্ট অভ্র কিবোর্ড। এবার আমিও লিখব – বাংলা ভাষায়। মন খুলে, প্রাণ খুলে লিখব। আশা করি তোমরা পড়বে এবং উৎসাহ দেবে। ধন্যবাদ।

আমার কথা

আমার নাম তন্ময়।
আমি ভালবাসি লিখতে – কবিতা, গান, গল্প।
আর ভালবাসি নতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্য করতে।
জীবনকে ভালবাসি, এবং হাসিমুখে অভিনন্দন জানাই জীবনের প্রতিটি মোড়কে।
সব কাজ ভিন্ন ভাবে করতে চাই – কিন্তু বিভিন্ন কাজ করেই দিন যাপন করি।
ব্লগ লেখা শুরু ক’বছর আগে, তবে বাংলা ব্লগ এই প্রথম। আমার ভালো লাগে ব্লগ লিখতে। এখানে আমি একা হলেও, আমি প্রাণ খুলে লিখতে পারি। মনের কথা গোপন রাখার কোনো দরকার হয় না। নিজেকে উজাড় করে লিখতে পারি। এটা ছাড়াও আমার আর কয়েকটা ব্লগ আছে, যাদের লিঙ্ক দেওয়া আছে এখানে।
আমার লেখা পড়ে, যদি তোমার ভালো লাগে, তো খুশি হবো। মন্তব্য করতে ভুলো না যেন!

এই যে। কই চল্লেন? এদিকে আসুন।

আমার দুটো কথাঃ

ভালবাসলে যখন তুমি আমাকে, তবে কেন বলো দূরে সরে থাক
আজকের এই জোছনা ভরা রাত, আর জীবনে ফিরে আসবে নাকো।

  © Blogger template 'Personal Blog' by Ourblogtemplates.com 2008

একদম ওপরে চলুন।