কৌতুক গল্প
ছোটবেলা মা বাবা এবং বন্ধু বান্ধবের মুখে অনেক সুন্দর সুন্দর কৌতুক শুনেছি এবং প্রাণ খুলে হেসেছি। এই ব্লগে লেখা এটা প্রথম কৌতুক। অনেক পুরোনো বলে সবচাইতে আগে ছাপাচ্ছি। আশা করি ভাল লাগবে।
আমি হাঁটতে বেড়িয়েছি। রাস্তাঘাটে বেরোলে আমরা প্রায়ই দেখে থাকি বিভিন্ন দেয়ালে বিভিন্ন লেখা লেখা রয়েছে। কেউ উনার বাড়ির কুকুর হইতে সাবধান করতে পোস্টার লাগিয়েছেন, আবার কেউ উনার দেয়ালে যেন পোস্টার লাগানো না হয়, তার জন্যে নিজেই এক পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন। এমনই এক দেয়ালের গায়ে লেখা ছিল এই কথাগুলোঃ
আমরা প্রায়ই দেখে থাকি যে অনেকেই প্রাকৃতীক টান সহ্য করতে না পেরে যেখানে সেখানে যেমন গাছের নিচে, গাড়ির পাশে, নর্দমাতে বা দেয়ালের গোড়ায় বসে পড়েন বা দাঁড়িয়ে যান। এই অপরিহার্য অবস্থার কথা ভেবেই হয়তো এই দেয়ালটুকুর গায়ে লেখাটা লেখা হয়েছিল। তাতে কিছু লাভ হয়েছে কিনা বলা মুষ্কিল, তবে কিছুদিন পরে দেখা গেল যে যা না করার জন্যে এতবড় পোস্টার লাগানো, সেই কাজ আরো বেড়েই গেল এবং দেয়ালের পাশ দিয়ে যাতায়াত করাই হয়ে উঠলো দূরহ। তাই লেখক ঠিক করলেন যে নিজেই তদন্তে নামবেন।
তিনি যখন দেয়ালের পাশে এসে দাড়ালেন কি চলছে তা দেখতে, অমনি উনার চক্ষু চড়কগাছ! একি, লেখাটা তো পুরোপুরিই পাল্টে গেছে! কোনো মহাপূরুষ তার লেখার উপরে নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় রেখে গেছে এবং উনার লেখাটা এখন পাল্টে দাড়িয়েছে এইঃ
এরপর ওখানে কি হলো আর কেউ জানে না; আর জানলেও কখনো কথাটা দুকান করেনি। তাই আমিও আর আপনাদের জানাতে পারবো না। চলুন এগিয়ে চলি।
কিছুদুর চলার পর, পাওয়া গেল একখানা কবরস্থান। ওই যেখানে মৃত্যুর পর মানুষের ঘর করে রেখে দেওয়া হয়, সেই যায়গা। সাধারণত আমি বিশেষ সময় কাটাই না স্মশানভূমি বা কবরস্থানে। তাই দ্রুত পায়ে চল্লাম। এই লেখাটি দেখা গেল, মূল দড়জার পাশের দেয়ালে। দাড়াতেই হল!
আমার প্রশ্নঃ যদি বহিরাগতদের জন্যে বাহন রাখার ব্যাবস্থা না করা হয়ে থাকে, তবে কি এখানকার বসবাসকারিদের বাহনের জন্যে করা হয়েছে? আমি ঠিক জানি না, তবে যদি এনারাই রাত্তির বেলা নিজেদের বাহন সম্বল করে ভ্রমনে বের হন, তবে আর এখানে থাকার বিশেষ প্রয়োজন বোধ করছিনা। এবার আপনারাও কেটে পরুন। পরে আবার দেখা হবে, রাস্তার পাশে, বা সবুজ ঘাসে কোথাও।
কি আনন্দ!
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন