আমার মন্তব্য
সচলায়তনে আজ প্রথমবার আমার কবিতা ছাপা হয়েছে। রবিঠাকুরকে নিবেদিত আমার এই কবিতা খানি আজ প্রকাশ পেয়েছে। আমি খুশি।
সচলায়তনের এক অতিথি লেখক লিখেছেন এই গল্পটি। নামঃ মা। গল্প পড়ে আমি এই মন্তব্য করলাম। আমি চাইবো তোমরা সবাই গল্পটি একবার পড়।
আমার মন্তব্য
কাল ছিল বিশ্ব মাতৃ দিবস। গল্পটা শুরু করেছিলাম এই ভেবে যে এই সম্বন্ধেই কিছু লেখা হয়তো হবে। ওই যেমন সবাই লেখে না? Happy Mothers’ Day!! ওই রকম কিছু। তার পর আস্তে আস্তে পড়া শুরু করলাম আর আমার নিজের মায়ের কথা মনে হতে লাগলো।
আমি প্রবাসি। মাকে দেখেছি ২ বছর ৩ মাস ১৪ দিন হয়েছে। মায়ের আওয়াজ শুনি, কিন্তু তাঁকে দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। মা সারা জীবন আমার যত্ন করেছেন, যেমন সব মায়েরাই করেন; আমার ভালর জন্যে ভেবেছেন, যেমন সব মায়েরাই করেন; হয়তো সব মায়েদের চাইতে আমার মা আমাকে বেসি ভালবেসেছেন। কিন্তু আমি মাকে এই বুড়ো বয়সে ছেড়ে দিয়ে এখানে বাড়ি থেকে এতদুর বসে আছি – যেমন (তমাল ছাড়া) কোনো ছেলেই করে না। জীবনে কিছু এমন decision নিয়েছি যার দরুন আমার মা-বাবা কে আজ কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। আমি নই সেই ছেলে, যার জন্যে মা-বাবা নিজেকে গর্বিত মনে করেন।
গল্পটা পড়ে মনে পরে গেল আমার মায়ের মুখখানি। আমার মা? সবছাইতে সুন্দর মা। দুবছর আগে যখন আমি বাড়ি ছেড়ে আসছি, অটোতে উঠে বসেছি, মা তাকিয়েছিলেন, রাস্তার পাশে। অনেক কিছুই বলেছিলেন। জীবনে প্রথমবার আমি কোথাও যাচ্ছি এবং মা আমার সাথে Airport-এ আসেননি। হয়তো মা রোজ আমার কথা মনে করে কাঁদেন। কিন্তু আমি শুধু একটা কথা ভেবেই খুশি যে এখন মা দূরে আছেন বলে আমার চোখের এই জলবিন্দুগুলো দেখতে পাচ্ছেন না। হয়তো এই আমার সাজা এবং এই তার পরিহাস!
শ্রীতন্ময়