রবিবার, ১০ মে, ২০০৯

আমার মন্তব্য

সচলায়তনে আজ প্রথমবার আমার কবিতা ছাপা হয়েছে। রবিঠাকুরকে নিবেদিত আমার এই কবিতা খানি আজ প্রকাশ পেয়েছে। আমি খুশি।

সচলায়তনের এক অতিথি লেখক লিখেছেন এই গল্পটি। নামঃ মা। গল্প পড়ে আমি এই মন্তব্য করলাম। আমি চাইবো তোমরা সবাই গল্পটি একবার পড়।


আমার মন্তব্য

কাল ছিল বিশ্ব মাতৃ দিবস। গল্পটা শুরু করেছিলাম এই ভেবে যে এই সম্বন্ধেই কিছু লেখা হয়তো হবে। ওই যেমন সবাই লেখে না? Happy Mothers’ Day!! ওই রকম কিছু। তার পর আস্তে আস্তে পড়া শুরু করলাম আর আমার নিজের মায়ের কথা মনে হতে লাগলো।

আমি প্রবাসি। মাকে দেখেছি ২ বছর ৩ মাস ১৪ দিন হয়েছে। মায়ের আওয়াজ শুনি, কিন্তু তাঁকে দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। মা সারা জীবন আমার যত্ন করেছেন, যেমন সব মায়েরাই করেন; আমার ভালর জন্যে ভেবেছেন, যেমন সব মায়েরাই করেন; হয়তো সব মায়েদের চাইতে আমার মা আমাকে বেসি ভালবেসেছেন। কিন্তু আমি মাকে এই বুড়ো বয়সে ছেড়ে দিয়ে এখানে বাড়ি থেকে এতদুর বসে আছি – যেমন (তমাল ছাড়া) কোনো ছেলেই করে না। জীবনে কিছু এমন decision নিয়েছি যার দরুন আমার মা-বাবা কে আজ কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। আমি নই সেই ছেলে, যার জন্যে মা-বাবা নিজেকে গর্বিত মনে করেন।



গল্পটা পড়ে মনে পরে গেল আমার মায়ের মুখখানি। আমার মা? সবছাইতে সুন্দর মা। দুবছর আগে যখন আমি বাড়ি ছেড়ে আসছি, অটোতে উঠে বসেছি, মা তাকিয়েছিলেন, রাস্তার পাশে। অনেক কিছুই বলেছিলেন। জীবনে প্রথমবার আমি কোথাও যাচ্ছি এবং মা আমার সাথে Airport-এ আসেননি। হয়তো মা রোজ আমার কথা মনে করে কাঁদেন। কিন্তু আমি শুধু একটা কথা ভেবেই খুশি যে এখন মা দূরে আছেন বলে আমার চোখের এই জলবিন্দুগুলো দেখতে পাচ্ছেন না। হয়তো এই আমার সাজা এবং এই তার পরিহাস!

শ্রীতন্ময়

শনিবার, ৯ মে, ২০০৯

আছো শুধু তুমি গুরুদেব...



আজ আকাশে, আলো আছে ভরা
চাঁদের পাশে, আছে কত তারা
শুধু তুমি নেই, শুধু তুমি নেই গুরুদেব...

আজো জল পরে
আজো পাতা নড়ে
তবু সে পাতা আজ একা রয়ে যায়,
কাঁদে আজো হিয়া
ফোঁটে ক্যামেলিয়া
তবু তার স্থান নেই, কোন কবিতায়।

কাঁচ ভাঙে নিত্য
সে পুরাতন ভৃত্য
আজ তার কান্না আর কেউ দেখে না,
পাষাণ খয়ে যায়
ছোট নদি বয়ে যায়
তার চলা দেখে আর কেউ শেখে না।

আজ পঁচিশে বৈশাখে
সাজ সাজ চারিদিকে
তোমারই আলো, তোমারই আলো গুরুদেব...

মানসী, গীতাঞ্জলি,
বলাকা, সোনার তরী,
তোমার কবিতা আজো মুখে মুখে,
ডাক ঘর, বিসর্জন,
রাজা, অচলায়তন,
তোমার নাটক আজো সুখে দুখে।

তাই আজো আমাদের মননে,
বিরহে, মিলনে, আলয়ে, বিজনে,
আছো শুধু তুমি, আছো শুধু তুমি গুরুদেব...


তোমার কবিতা পড়ে বড় হয়েছি। তোমার লেখায় বাংলা শিখেছি। আজ তোমার জন্মদিনে আমার তরফ থেকে এই ছোট্ট নিবেদন। (কৈ, এবার তো স্বপ্নে দেখা দিলে না?) আশীর্বাদ করো।

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০০৯

তুমি আছো তাই...

হাজার বছরের কান্নার পর তোমাকে পেয়েছি। শত বছরের অপেক্ষার পর তোমাকে পেয়েছি। কবিতাতে তোমাকে পেয়েছি, কাব্যে তোমাকে পেয়েছি। তোমাকে পেয়েছি আমার প্রত্যেকটি গানে; প্রতিটি সুরে। প্রতিটি শ্বাসে তোমাকে পেয়েছি। প্রতিটি নিশ্বাসে তোমাকে পেয়েছি। ঘুম থেকে উঠে প্রথম সূর্য রশ্মির মতো করে তোমাকে পেয়েছি। মাঝরাতের তরতাজা চাঁদের আলোর মতো করে তোমাকে পেয়েছি। বাঁশবাগানের শন শন শব্দে, নদির কল কল শব্দে; আকাশে, বাতাসে; ভ্রান্তিবিলাসে তোমাকে পেয়েছি। তোমাকে পেয়েছি আমার শরীরে বহমান প্রত্যেক রক্ত বিন্দুতে। তোমাকে পেয়েছি পাহাড়ে, মরুতে, সাগরে সিন্ধুতে। আনাচে কানাচে, রাস্তার মোড়ে, বাগানের কোণে, আম্র কাননে, গাছের ছায়ায়, ফুলের মালায়, বালিশের তলায়, দড়জার ফাঁকে, রান্নাঘরের তাকে, কলতলার জলে, সকালে, দুপুরে, বিকেলে, রাত-বিরেতে তোমাকেই তো পেয়েছি।

তুমি আমার জীবন। তুমি আমার মরন। তুমি আছো তাই আমি আছি। তুমি থাকবে তাই আমিও থাকবো। ভালবাসি তোমাকে। তোমাকেই ভালবাসবো। তোমাকেই বুকে রাখবো। তোমারই বুকে থাকবো। তুমি আছো, তাই সব আছে। তুমি থেকো – আমি তো আছিই!

শনিবার, ২ মে, ২০০৯

তোমাতে আমি...



চোখেতে তোমার আমি দেখেছি মুক্তি,
চোখেতে তোমার আমি পেয়েছি নিজেকে খুঁজে,
তোমাকে নিজের করে নিতে চেয়েছি
চোখেতে তোমার তাই, রয়েছি – মুখ বুজে।

দুহাতে তোমার লেখা আছে আমার ভাগ্য,
দুহাতে তোমার আছে আমার ভবিষ্যৎ ও বর্তমান,
তোমার হাতে আমার হাত রেখে শপত করেছি
দুহাতে তোমার তুলে দিয়েছি আমার মান, অভিমান।

বাংলা ভাষা

বাংলা শুনলেই আমার জ্বর আসতো। এখোনো একটা ভয় রয়েই গেছে। তবুও এই বাংলা ভাষাই আমার প্রিয়। কত কবিতা, কত গান, কত গল্প লিখেছি আমি বাংলায়। সেই পুরাতন দিন, যখন পাতার পর পাতা চিঠি লিখতাম আমার প্রিয়তমাকে, কবিতা লিখে পাঠাতাম বাংলায়। এবার আবার সুযোগ পেয়েছি বাংলায় লেখার। এ সুযোগ আমি ছাড়ব না।

আমার বাড়ি

আমার বাড়ি আগরতলায়, ত্রিপুরার রাজধানী। ভারতবর্ষের উত্তর পূর্ব প্রান্তের ছোট্ট রাজ্য, ত্রিপুরা। জাতি উপজাতি মিলে মিশে থাকি আমরা। আমার বাড়ি ওখানে। ছোট্ট আমাদের শহর, আগরতলা। খুব সুন্দর জায়গা। আমার সবচাইতে প্রিয় শহর। তোমরা এসো - দেখে যেয়ো আমার বাড়ি।

ব্লগ সম্বন্ধীয়

এটা আমার প্রথম বাংলা ব্লগ। ব্লগ তো আমি অনেক লিখি, তবে বাংলায় এই প্রথম প্রচেস্টা। খুব ইচ্ছে ছিল বাংলায় লেখার। অনেক সফট্যার ঘাটা ঘাটি করে পেলাম এই উৎকৃসষ্ট অভ্র কিবোর্ড। এবার আমিও লিখব – বাংলা ভাষায়। মন খুলে, প্রাণ খুলে লিখব। আশা করি তোমরা পড়বে এবং উৎসাহ দেবে। ধন্যবাদ।

আমার কথা

আমার নাম তন্ময়।
আমি ভালবাসি লিখতে – কবিতা, গান, গল্প।
আর ভালবাসি নতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্য করতে।
জীবনকে ভালবাসি, এবং হাসিমুখে অভিনন্দন জানাই জীবনের প্রতিটি মোড়কে।
সব কাজ ভিন্ন ভাবে করতে চাই – কিন্তু বিভিন্ন কাজ করেই দিন যাপন করি।
ব্লগ লেখা শুরু ক’বছর আগে, তবে বাংলা ব্লগ এই প্রথম। আমার ভালো লাগে ব্লগ লিখতে। এখানে আমি একা হলেও, আমি প্রাণ খুলে লিখতে পারি। মনের কথা গোপন রাখার কোনো দরকার হয় না। নিজেকে উজাড় করে লিখতে পারি। এটা ছাড়াও আমার আর কয়েকটা ব্লগ আছে, যাদের লিঙ্ক দেওয়া আছে এখানে।
আমার লেখা পড়ে, যদি তোমার ভালো লাগে, তো খুশি হবো। মন্তব্য করতে ভুলো না যেন!

এই যে। কই চল্লেন? এদিকে আসুন।

আমার দুটো কথাঃ

ভালবাসলে যখন তুমি আমাকে, তবে কেন বলো দূরে সরে থাক
আজকের এই জোছনা ভরা রাত, আর জীবনে ফিরে আসবে নাকো।

  © Blogger template 'Personal Blog' by Ourblogtemplates.com 2008

একদম ওপরে চলুন।