শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০০৯

তোমারে হলো না শেখা।



আর কত গান গাইব প্রিয়
আর কত গীত লিখবো?
আর কত বার খুঁজবো তোমারে
আর কত তবে শিখবো?

তুমি আছো তাই
তোমাতে আমি আমারে খুঁজে পাই
তুমি আছো তাই
তোমার পথে নিজে নিজে চলে যাই।

তোমার ঠোঁটে হাজার প্রশ্ন
তবু তোমার বুকেতে আমি,
তোমার চোখের কাজলে কাজলে
আঁধার আসিল নামি।

সেই আঁধারে তোমারেই দেখি
যেদিকেই আমি চাই
আমার পথের প্রতি মোড়ে আমি
তোমারেই শুধু পাই।

তবু অভিমান হৃদয়ে আমার
আছে কপালে হয়তো লেখা
হাজার বছর তব সাথে তবু
তোমারে হলো না শেখা।

।। ছবি নেওয়া হয়েছে এখান থেকে ।।

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০০৯

চিঠির জবাব

ছবিতে ক্লিক করে বড় করুন

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০০৯

বুড়োর ভেলকি

হঠাৎ একটা কৌতুক মনে পরে গেল। ভাবলাম এখানে লিখি। ছোটবেলায় শোনা। আশা করি ভাল লাগবে।

একবার একটি লোক পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। নতুন এক গ্রামের উদ্দেশ্যে। অচেনা গ্রাম, অচেনা গ্রামের পথ। লোকটি রাস্তার পাশের মানুষদের জিগেস করতে করতে অনেকটা পথ চলে এসেছিল। হাঁটতে হাঁটতে এক জায়গায় এসে দেখলো যে জনমানবহিন এক মোড়ে এক বৃদ্ধ বসে আছে। লোকটি রাস্তা জিগেস করার জন্যে এগিয়ে গেল।

“দাদু, এখান থেকে হরিদাসপুর যেতে কতক্ষণ সময় লাগবে?”

বৃদ্ধ নিশ্চুপ। কিছুই বললো না। লোকটি ভাবলো হয়তো বৃদ্ধ কানে কম শোনে। সে আবার জিগেস করলো, এবার একটু জোড় গলায়।

“এই যে দাদু, শুনছেন?”

বৃদ্ধ চোখ তুলে তার দিকে তাকালে সে আবার জিগেস করলো, “এখান থেকে হরিদাসপুর গেরামে যেতে কতটা সময় লাগবে?”

কিছুক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বৃদ্ধ আবার চোখ ঘুড়িয়ে নিল। আচ্ছা মুশকিল তো! লোকটা আরো কয়েকবার জিগেস করে দেখলো, কিন্তু বৃদ্ধ কোনোভাবেই কিছু বললো না। নিজের মনে কিছু বিড়বিড় করলো, কিন্তু কিছুই বললো না। শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়ে লোকটি এগিয়ে গেল রাস্তা ধরে। ভাবলো কিছুদূর এগিয়ে অন্য কাউকে জিগেস করে ঠিক হদিস করে নেবে। কিছুদূর হাঁটার পর সে পেছন থেকে আওয়াজ শুনতে পেল।

“এই ছোকরা, শোন।”

সে ঘুরে দেখলো সেই বৃদ্ধ তাকে হাত তুলে ডাকছে। রাগে গজ গজ করতে করতে সে এগিয়ে গেল। বৃদ্ধ কিছু বলার আগে সে নিজেই বলে উঠলো, “কি হে বুড়ো, এতক্ষণ যখন জিগেস করছিলাম, তখন মুখ থেকে একটা আওয়াজ বের করলে না। এখন আবার ডাকছো? কি, কি হয়েছে শুনি?”

বৃদ্ধ মৃদু গলায় বললো, “এইখান থেইকে হরিদাসপুর যাইতে তোমার এই আধা ঘন্টা খানেক লাইগবে, বাবা।”

লোকটার মাথা গেল গরম হয়ে। এতক্ষণ ধরে এতবার জিগেস করার পরেও বৃদ্ধ কিছুই বললো না, আর যেই কিনা সে নিজেই পথ খুঁজে নেবার উদ্যোগ নিলো, সাথে সাথে বুড়োর মনে হল ওকে পথ বাতলে দেবার কথা? বুড়ো ভাম!

বৃদ্ধ নিশ্চয়ই তার মনোভাব বুঝতে পেরেছিল। তাই লোকটি কিছু বোঝার আগেই সে বলে উঠলো,
“বাবা, তুমি যখন জিইগেস করলায় কতক্ষণ সময় লাইগবে, তখন তো আর আমি তোমার হাঁটার গতি জাইনতেম না। তাহলে তোমারে বলি কিভাবে যে ঠিক কতক্ষণ লাইগবে? তাই যখন তুমি হাঁইটা গেলা, আমি দেইখে নিলাম তোমার গতি এবং হিসেব কইরে দেইখলাম যে তোমার ঠিক আধা ঘন্টা খানেক লাইগবে।”

বুধবার, ১১ মার্চ, ২০০৯

আজ দোল পূর্ণিমা।

আজ হোলি। দোল পূর্ণিমা। নানা রঙের নানা খেলা – আবীর, পিচকারি, জল-বেলুন থেকে আরম্ভ করে মিনা রঙ, ভাঙ এবং কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। সব কিছু মিলিয়ে হোলি, বা ছোটোবেলায় যেমন জানতাম – রঙ খেলা।

আমাদের বাড়িতে রঙ খেলার রমরমা ভাব খুব একটা ছিল না। তবে এটা ঠিক যে অন্যান্য দিনের চাইতে এই দিনটা ছিল অনেক আলাদা। ছোটোবেলায় সব বাচ্চাদের মতই আমারও রঙের ভয় ছিল। আমি রঙ খেলতে চাইতাম না। বন্ধুরা সবাই যখন ডাকতে আসতো, তখন আমি মায়ের আঁচলের তলায় অথবা আমার ঘরে, দড়জা লাগিয়ে বসে থাকতাম। তবে মা পাঠিয়ে দিতেন বাইরে – সবার সাথে। কখনো কান্নাকাটি করতাম – যেতাম না। আর দিন গড়িয়ে গেলে খুব কষ্ট হতো। আবার কখনো বেরোতাম – বন্ধুদের সাথে – সারা পাড়াময় ঘুরতাম আর যাকে পারি রঙ দিতাম। খুব ছোটবেলার কথা। একটু বড় হবার পর আর বের হতাম না। বাড়িতেই খেলতাম – মা, মাসি, মামি, কাকিদের সাথে ও ছোট ভাই বোনদের সাথে... ব্যাস। বন্ধুরাও ব্যাস্ত হয়ে গেল এবং রঙ খেলার নিজেদের নিয়ম কানুন করে নিল। অনেক লোক আসতো বাড়িতে তখন – কেউ বাবা মায়ের পায়ে রঙ দিতে অথবা নিজেদের পায়ে রঙ নিতে। অদ্ভুত ব্যাপার ছিল। আমি ছিলাম পাশাপাশি, তবে না থাকার মতো করে। তখন মাঝে মাঝে ইচ্ছে হতো রঙ খেলার। মৈত্রীর সাথে। মনে হতো ও যেন সবসময়ই পাশে থাকে। মনে হতো একটু আবীর ওর নাকে, গালে, হাতে ছুঁইয়ে দিই। মনে হতো ওকে মিনা রঙের বালতি ভর্তি জল দিয়ে ভিজিয়ে দিই। একটা পিচকারি ভর্তি রঙ ওর গায়ে ছড়িয়ে দিই। কিন্তু সেই আশা আর পূর্ণ হতো না। ওর সাথে কাখনই রঙ খেলতে পারি নি। আমরা কাখনই এমন দিনে একসাথে ছিলাম না। একে অপরের ছবির মধ্যে রঙ লাগাতাম, আর চোখের জল ফেলতাম। এখন সাথে থাকি – এখন আর ওই ভাবে রঙ খেলা হয় না।

যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলাম, তখনোও রঙ খেলা হতো, তবে আমি খুব একটা যেতাম না। একবার ভাঙ্গের লাড্ডু খেয়ে কয়েক ঘন্টা এক জায়গায় বসে ছিলাম – পরে জেনেছিলাম যে আমি নাকি কোথাও যাইনি বা কারো সাথে কথাই বলিনি ওই সময়টাতে। তারপর যখন বাঙ্গালোরের কলেজে ভর্তি হলাম, সেবারের হোলি ছিল মহান! হে হে হে। সত্যি মহান। আমরা সব্বাই মিলে সারাদিন রঙ খেল্লাম। ভাঙ খেলাম। হই চই করলাম। একটা জলের ট্যাঙ্কে রঙ ভর্তি করে সব্বাই মিলে ডুবোলাম। তারপর ছাদে গিয়ে জলের কলের তলায় বসে একজন আরেক জনের শরীর ঘষে ঘষে রঙ উঠালাম। খুব মজা হয়েছিল। তখনই প্রথম জানলাম যে হোলিকার সেই ঘটনার উপর ভিত্তি করে এখনও হোলিকার ঘর জ্বালানো হয়। ভালই ছিল বিকেলের এই অনুষ্ঠান।


এবার আর রঙ খেলার বিশেষ অবস্থা ছিল না। ওর অফিশ, আমারও অফিশ। খেলবো কোথায়? হয়তো গতবারের মত আজকে বাড়ি ফিরে দুজনে মিলে একটু খেলবো। তবে আজকে অফিশে এসেই যা হলো! হঠাৎ করে কোনো কথা নেই বার্তা নেই কিছু ভুত-প্রায় সহকর্মি এসে জুটলো আর রঙ্গে রঙ্গে ভরে গেল সবাই। তার পরই আমার এই অবস্থা। যাক, ভালই হলো। তবে মৈত্রী থাকলে আরো ভাল লাগতো। আরো একদিন তো আছে – দেখা যাক কি করতে পারি।

সবশেষে সব্বাইকে জানাই দোল পূর্ণীমার অশেষ শুভেচ্ছা, আন্তরিক প্রীতি ও ভালবাসা। সবার জীবন হয়ে উঠুক আনন্দময়, রঙ্গিন এবং শুখময়। সবার হোলি শুভ হোক।

বাংলা ভাষা

বাংলা শুনলেই আমার জ্বর আসতো। এখোনো একটা ভয় রয়েই গেছে। তবুও এই বাংলা ভাষাই আমার প্রিয়। কত কবিতা, কত গান, কত গল্প লিখেছি আমি বাংলায়। সেই পুরাতন দিন, যখন পাতার পর পাতা চিঠি লিখতাম আমার প্রিয়তমাকে, কবিতা লিখে পাঠাতাম বাংলায়। এবার আবার সুযোগ পেয়েছি বাংলায় লেখার। এ সুযোগ আমি ছাড়ব না।

আমার বাড়ি

আমার বাড়ি আগরতলায়, ত্রিপুরার রাজধানী। ভারতবর্ষের উত্তর পূর্ব প্রান্তের ছোট্ট রাজ্য, ত্রিপুরা। জাতি উপজাতি মিলে মিশে থাকি আমরা। আমার বাড়ি ওখানে। ছোট্ট আমাদের শহর, আগরতলা। খুব সুন্দর জায়গা। আমার সবচাইতে প্রিয় শহর। তোমরা এসো - দেখে যেয়ো আমার বাড়ি।

ব্লগ সম্বন্ধীয়

এটা আমার প্রথম বাংলা ব্লগ। ব্লগ তো আমি অনেক লিখি, তবে বাংলায় এই প্রথম প্রচেস্টা। খুব ইচ্ছে ছিল বাংলায় লেখার। অনেক সফট্যার ঘাটা ঘাটি করে পেলাম এই উৎকৃসষ্ট অভ্র কিবোর্ড। এবার আমিও লিখব – বাংলা ভাষায়। মন খুলে, প্রাণ খুলে লিখব। আশা করি তোমরা পড়বে এবং উৎসাহ দেবে। ধন্যবাদ।

আমার কথা

আমার নাম তন্ময়।
আমি ভালবাসি লিখতে – কবিতা, গান, গল্প।
আর ভালবাসি নতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্য করতে।
জীবনকে ভালবাসি, এবং হাসিমুখে অভিনন্দন জানাই জীবনের প্রতিটি মোড়কে।
সব কাজ ভিন্ন ভাবে করতে চাই – কিন্তু বিভিন্ন কাজ করেই দিন যাপন করি।
ব্লগ লেখা শুরু ক’বছর আগে, তবে বাংলা ব্লগ এই প্রথম। আমার ভালো লাগে ব্লগ লিখতে। এখানে আমি একা হলেও, আমি প্রাণ খুলে লিখতে পারি। মনের কথা গোপন রাখার কোনো দরকার হয় না। নিজেকে উজাড় করে লিখতে পারি। এটা ছাড়াও আমার আর কয়েকটা ব্লগ আছে, যাদের লিঙ্ক দেওয়া আছে এখানে।
আমার লেখা পড়ে, যদি তোমার ভালো লাগে, তো খুশি হবো। মন্তব্য করতে ভুলো না যেন!

এই যে। কই চল্লেন? এদিকে আসুন।

আমার দুটো কথাঃ

ভালবাসলে যখন তুমি আমাকে, তবে কেন বলো দূরে সরে থাক
আজকের এই জোছনা ভরা রাত, আর জীবনে ফিরে আসবে নাকো।

  © Blogger template 'Personal Blog' by Ourblogtemplates.com 2008

একদম ওপরে চলুন।