মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯

পার্কে একদিন...


আমি চাই তোমাকে, যদি তুমি বোঝো – যদি তুমি আমাকে নিজের করে নাও।

আমি তোমাকে ভালবাসি, তুমি জানো।

হ্যাঁ আমি জানি। তবে কি তুমি কোনদিন বলবে না? কোনদিন মুখ ফুটে বলবে না?

কেন? মুখ ফুটে বলতে হবে কেন? এত বছরের এত অপেক্ষার পরে তুমি এসেছো। এত রাত একা একা কাটানোর পরে তোমাকে কাছে পেয়েছি আজ। এতকিছু করে তোমার সাথের এই কিছুক্ষণ থাকার সৌভাগ্য। তুমি কি দেখ না? তুমি কি বোঝো না?

না, আমি দেখি না। আমি দেখতে চাই না। আমি দেখতে চাই তোমাকে, আর শুনতে চাই তোমার মুখে। আমি এতবছর তোমাকে কাছে পাইনি। যা ভাবার ছিল, যা বলার ছিল সবই শুধু বুঝে নিয়েছি। তোমার বলতে হয়নি – তুমি বলনি। সবসময় শুধু আমিই বুঝে নিয়েছি। এখন তো তুমি কাছে আছো – চোখের সামনে। তুমি আছো, আমি আছি। তাহলে কেন বলবে না?

হ্যাঁ, বলবো।

তাহলে বল। কত কিছুই তো তোমার বলার ছিল। আমি যখন ফোন করতাম তুমি বলতে তোমার কত কথা আছে বলার। ফোন রাখতে চাইতে না। এখন কি হয়েছে? এখন বল না। বল না গো।

আমি তোমাকে ভালবাসি।

আমিও। আমিও তোমাকে ভালবাসি।

আমিও শুনতে চাই তোমার সব কথা। যে কথা তুমি বলেছো ফোনে বলা যায় না। তুমি বলেছিলে বলবে। এখন বল। আমি সেই কবে থেকে বসে আছি তোমার সব কথা শোনার জন্য। বল না সোনা, আমি শুনি।

কেন তুমি এমন? তুমি কখন কি আমাকে আর বুঝবে না?

মানে? এখানে বোঝা না বোঝার কি হল? আমি তো...

থাক, আর বলতে হবে না। হয়তো আমিই বেশি চেয়ে ফেলি। বারবার ওই এক ভুল করে ফেলি আমি।

না। শোন। আমি বলছিলাম...

কি বলছিলে? বল।

মানে, এখন তো সন্ধ্যা হয়ে এলো। এখানে আর বেশিক্ষন বসা যাবে না।

বসা যাবে না? কেন বসা যাবে না?

না, মানে এখানে তো...

তোমার এখানেও ভয়? এখনও ভয়? কেন? এখন তো আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তাহলে সন্ধ্যার পর পার্কে বসে থাকলে কি হবে?

কে কি বলবে?

বলুক না। আমরা শুনবই বা কেন? এতদিন তো কেবল অন্যের কথা ভেবে ভেবে কিছুই করতে পারি নি। এখনও করতে দেবে না?

হ্যাঁ? কি করতে চাও বলনা। সবই করতে পারবো। বল না...

না থাক। তুমি ঠিকই বলেছো। চল উঠি।

না, বোস না। এখনো তো ঠিক সন্ধ্যা...

হয়েছে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এখন আর আলো নেই, দেখ। একটু পরেই রাত নেমে আসবে। গভীর রাত। কালো, কুচকুচে রাত। এই রাতের আর শেষ নেই। এই রাতের হয়তো সকালও নেই। চল উঠি এখন।

কিন্তু সোনা...

চল।

(১৯/২/২০০৯ ২:৫৭) সবাই পড়ার জন্যে এখানেও পোস্ট করলামঃ The Writer’s Lounge, তবে, হিন্দি ভাষায়।

বাংলা ভাষা

বাংলা শুনলেই আমার জ্বর আসতো। এখোনো একটা ভয় রয়েই গেছে। তবুও এই বাংলা ভাষাই আমার প্রিয়। কত কবিতা, কত গান, কত গল্প লিখেছি আমি বাংলায়। সেই পুরাতন দিন, যখন পাতার পর পাতা চিঠি লিখতাম আমার প্রিয়তমাকে, কবিতা লিখে পাঠাতাম বাংলায়। এবার আবার সুযোগ পেয়েছি বাংলায় লেখার। এ সুযোগ আমি ছাড়ব না।

আমার বাড়ি

আমার বাড়ি আগরতলায়, ত্রিপুরার রাজধানী। ভারতবর্ষের উত্তর পূর্ব প্রান্তের ছোট্ট রাজ্য, ত্রিপুরা। জাতি উপজাতি মিলে মিশে থাকি আমরা। আমার বাড়ি ওখানে। ছোট্ট আমাদের শহর, আগরতলা। খুব সুন্দর জায়গা। আমার সবচাইতে প্রিয় শহর। তোমরা এসো - দেখে যেয়ো আমার বাড়ি।

ব্লগ সম্বন্ধীয়

এটা আমার প্রথম বাংলা ব্লগ। ব্লগ তো আমি অনেক লিখি, তবে বাংলায় এই প্রথম প্রচেস্টা। খুব ইচ্ছে ছিল বাংলায় লেখার। অনেক সফট্যার ঘাটা ঘাটি করে পেলাম এই উৎকৃসষ্ট অভ্র কিবোর্ড। এবার আমিও লিখব – বাংলা ভাষায়। মন খুলে, প্রাণ খুলে লিখব। আশা করি তোমরা পড়বে এবং উৎসাহ দেবে। ধন্যবাদ।

আমার কথা

আমার নাম তন্ময়।
আমি ভালবাসি লিখতে – কবিতা, গান, গল্প।
আর ভালবাসি নতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্য করতে।
জীবনকে ভালবাসি, এবং হাসিমুখে অভিনন্দন জানাই জীবনের প্রতিটি মোড়কে।
সব কাজ ভিন্ন ভাবে করতে চাই – কিন্তু বিভিন্ন কাজ করেই দিন যাপন করি।
ব্লগ লেখা শুরু ক’বছর আগে, তবে বাংলা ব্লগ এই প্রথম। আমার ভালো লাগে ব্লগ লিখতে। এখানে আমি একা হলেও, আমি প্রাণ খুলে লিখতে পারি। মনের কথা গোপন রাখার কোনো দরকার হয় না। নিজেকে উজাড় করে লিখতে পারি। এটা ছাড়াও আমার আর কয়েকটা ব্লগ আছে, যাদের লিঙ্ক দেওয়া আছে এখানে।
আমার লেখা পড়ে, যদি তোমার ভালো লাগে, তো খুশি হবো। মন্তব্য করতে ভুলো না যেন!

এই যে। কই চল্লেন? এদিকে আসুন।

আমার দুটো কথাঃ

ভালবাসলে যখন তুমি আমাকে, তবে কেন বলো দূরে সরে থাক
আজকের এই জোছনা ভরা রাত, আর জীবনে ফিরে আসবে নাকো।

  © Blogger template 'Personal Blog' by Ourblogtemplates.com 2008

একদম ওপরে চলুন।